শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সবুজ আকনের সংবাদ সম্মেলন কৃতি শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলে আম গাছের চারা উপহার দিলেন, এমবি কলেজ কতৃপক্ষ কলাপাড়ায় বিএনপির সাংগঠনিক সভা পটুয়াখালীর লোহালিয়া আপ্তাফউদ্দিন  দাখিল মাদ্রাসায় ‘বিতর্কিত এডহক কমিটি’ বাতিলের দাবিতে স্বারকলিপি বাউফলে ইউএনওর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল গলাচিপার ২’য় বৃহত্তম নগরী উলানিয়া বাজার রক্ষার্থে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান কলাপাড়ায় হঠাৎ বিকট শব্দে সেতু ভেঙ্গে খালে।। ভোগান্তিতে ১৫ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ কলাপাড়ায় দিন দুপুরে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি বরিশালে গনতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য এর সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন বাউফলে সাংবাদিককে ইউএনও’র জেল দেয়ার হুমকি সাম্যের খুনীদের ফাঁসির দাবীতে বিএম কলেজ ছাত্রদলের মশাল মিছিল কলাপাড়া স্কাউটস মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত বাউফলের ঢাকাগামী লঞ্চে যাত্রী সেজে মদ পাচারকালে এক যুবক গ্রেফতার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের দায়ে ১৬ জেলে আটক বরিশাল জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান
বরিশালে প্রকাশ্যো রাস্তায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগ

বরিশালে প্রকাশ্যো রাস্তায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগ

Sharing is caring!

বরিশাল: ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়া শিশু গৃহকর্মীকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে স্থানীয়দের সাথে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন তারা। পরে শিশু গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে কোতয়ালী মডেল থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল নগরীর সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা বাজার সংলগ্ন পুলিশ বক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ওসি মিজানুর রহমানের দাবি গৃহকর্মী নয়, বরং বাবা-মা না থাকায় শিশুটিকে বাসায় রেখে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন তিনি। ঘটনার পরে মনি (১৩) নামের ওই শিশুকে থানা পুলিশ তার মায়ের জিম্মায় দিয়েছেন। ভিকটিম শিশুটি বাবুগঞ্জ উপজেলার মন্টু হাওলাদারের মেয়ে। গৃহকর্মী মনি’র দাবি ‘গত ছয় দিন ধরে নগরীর বটতলা এলাকায় হালিমা খাতুন স্কুল সংলগ্নে জেলা ডিবি পরিদর্শক মিজানুর রহমানের বাসায় কাজ করতেন। বুধবার রাতে ডিবি পুলিশের বাসায় তাকে মারধর এবং গালমন্দ করা হয়।

এজন্য বৃহস্পতিবার সকালে কাউকে কিছু না বলে সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এজন্য ওসি’র স্ত্রী এবং কিশোর ছেলে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় তাকে খুঁজে পেয়ে প্রকাশ্যে চর থাপ্পর দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম হাওলাদার জানান, ‘মেয়েটি চৌমাথা বাজার সংলগ্ন সিএন্ডবি সড়ক পার হচ্ছিল। এর মধ্যে একটি মহিলা ও একটি ছেলে এসে শিশুটির হাত ধরে টান দেয় এবং চর থাপ্পর শুরু করে। তখন শিশুটি চিৎকার করে বলতে থাকে ‘মুই আমনেগো লগে যামু না, ওই বাসায় মইরা গেলেও যামু না।’ রফিকুল বলেন, ‘মেয়েটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে শিশুটিকে মারধরের কারণ জানতে চায়।

পাশাপাশি মারধরকারী ওই নারী ও ছেলেকে পুলিশে দেয়ার কথা বললে স্বামী পুলিশ হওয়ায় তারা উল্টো পুলিশকেই গালাগাল দেয়।’ অপর প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কালাম বলেন, ‘ঘটনার সময় মানুষের ভীর পড়ে গেলে ট্রাফিক পুলিশ এসে শিশুটিকে তাদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ বক্সে রাখে। তারাই থানা পুলিশকে খবর দিয়ে শিশুটিকে তাদের হাতে তুলে দেয়।’ অভিযুক্ত নারীর স্বামী জেলা ডিবির পরিদর্শক মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মেয়েটিকে গৃহকর্মী হিসেবে রাখা হয়নি। ওর বাবা-মায়ের ডিফোর্স হয়েছে।

শিশুটি একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। আমি বাবুগঞ্জের ওসি থাকাবস্থায় মেয়েটির বোনের সাথে পরিচয় হয়। সেই বোনই আমাকে অসহায় শিশুটির কথা বলে। গৃহকর্মীর কাজ থেকে ছাড়িয়ে শিশুটিকে ওর মা গত ছয় দিন আগে আমার বাসায় দিয়ে যায়। আমি না করেনি। ভেবেছিলাম আমার শিশু কন্যার সঙ্গী হিসেবে থাকবে এবং লেখাপড়া করবে। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ। বৃহস্পতিবার সে ডাক্তার দেখানোর জন্য ঘর থেকে বের হয়। আমি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম।

সেই সুযোগে শিশুটি কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পরে আমার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া ছেলে ওকে খুঁজে পেয়ে হয়তো দু-একটা চর দিতে পারে। এসময় আমার স্ত্রীও সেখানে ছিল। এটা তারা অন্যায় করেছে। এজন্য তাদের অনেক গালমন্দও করেছি। এ প্রসঙ্গে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির সাথে কথা বলেছি।

সে ছয় দিন আগে ওই বাসায় কাজ শুরু করে। সেখানে বকাঝকা করায় মেয়েটি ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে যায়। পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের লোকেরা শিশুটিকে খুঁজে পেয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু শিশুটি যেতে না চাওয়ায় একটু টানা হেচড়া হয়।

যে বিষয়টি দৃষ্টিকটুর। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে। তিনি বলেন, ‘শিশুর মায়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি থানায় এসেছিলেন। একটি মুচলেকা রেখে শিশুটিকে তায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

তিনি এ ঘটনা নিয়ে কোন মামলা বা অভিযোগ করবে না বলে থানায় মুচলেকা দিয়েছে। বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘আমি অফিসার পাঠিয়ে শিশুটির কাছ থেকে ঘটনা শুনেছি। যতটুকু যেনেছি শিশুটিকে গৃহকর্মী হিসেবে নয়, ওকে লেখাপড়া করানোর জন্য ডিবি’র ওই পরিদর্শক তার বাসায় এনেছিল। কিন্তু সে থাকবে না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এখানে পুলিশের ওই কর্মকর্তার কি দোষ? শিশুর সাথে কোন অপরাধ হলে সে ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD